প্রচ্ছদ > লাইফস্টাইল >

"গোসলের সময় এই নিয়মগুলো কি মানেন?"

article-img

গোসল তো প্রতিদিনই করি, কিন্তু ত্বক কি আসলেই পরিষ্কার হয়? কিংবা গোসলের পর শরীরের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয় কি? অনেক সময় আমরা গোসল করার সময় এমন কিছু ভুল করে ফেলি, যা আসলে আমাদের শরীর ও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই, গোসলের সময় কোন বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত, তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন দেখে নেওয়া যাক—

**যখন-তখন গোসল নয়**

যখন ইচ্ছে তখন গোসল করবেন না। সকাল, দুপুর, রাত—বিভিন্ন সময়ে গোসল করার অভ্যাস ভালো নয়। গরমকালে দিনে দু-তিনবার গোসল করার প্রয়োজন হতে পারে, তবে গরম থেকে এসে তৎক্ষণাৎ গোসল করবেন না। কিছুক্ষণ পাখার নীচে বসে ঠান্ডা হয়ে তারপর গোসল করুন। এতে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

**পানির তাপমাত্রা**

গরমকালে পানি ঠান্ডা আর শীতকালে গরম হতে পারে, কিন্তু খুব ঠান্ডা কিংবা খুব গরম পানিতে গোসল করা উচিত নয়। অত্যাধিক গরম পানিতে গোসল করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, যা ত্বকের প্রদাহ ও চুলকানির সমস্যা তৈরি করতে পারে। বর্ষাকালে ও শীতকালে ইষদুষ্ণ পানিতে গোসল করার চেষ্টা করুন।

**লুফা বা জালি**

বডি ওয়াশ, শাওয়ার জেল কিংবা সাবান—যাই ব্যবহার করেন না কেন, লুফা দিয়ে ত্বকে মাখুন। লুফা দিয়ে সাবান মাখলে ত্বকের মৃত কোষ ও ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে একই লুফা বা জালি বাড়ির সকল সদস্য ব্যবহার করবেন না। বাথরুমে ভিজে লুফা রাখবেন না, কারণ ভিজে লুফা জীবাণুর আঁতুড়ঘর হতে পারে। লুফা ব্যবহারের পর রোদে শুকিয়ে নিন।

**গামছা বা তোয়ালে**

গা-মাথা মুছে ভেজা তোয়ালে দড়িতে মেলে দেবেন না। গা মুছে নেওয়ার পর ওই ভেজা গামছা বা তোয়ালে সরাসরি শুকানোর জন্য দেবেন না। আগে ভাল করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। ভেজা গামছা বা তোয়ালে ভ্যাপসা গন্ধ ছাড়ে এবং এতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জমার সম্ভাবনা থাকে।